হামাসের হাতে জিম্মি ইসরাইলিদের মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত কোনও যুদ্ধবিরতি হবে না বলে জানিয়েছে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। একইসঙ্গে নিজ নাগরিকদের সুরক্ষায় সব কিছু করতে ইসরাইল প্রস্তুত বলেও জানান ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৩রা নভেম্বর) সংবাদমাধ্যম রয়র্টাস এসব তথ্য জানিয়েছে।

নেতানিয়াহু বলেন, গাজায় তারা কোনো জ্বালানি প্রবেশ করতে দেবেন না। জানা গেছে, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে ‘সাময়িক যুদ্ধবিরতির আহ্বান’জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তবে গাজায় যুদ্ধবিরতি হবে না জানিয়েছেন নেতানিয়াহু।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জোনাথন কনরিকাস জানিয়েছেন, গাজার বেসামরিক মানুষ আমাদের শত্রু নয়। আমাদের লক্ষ্য হামাস। ওই অঞ্চলের বেসামরিক মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার জন্য যা যা করা প্রয়োজন ছিল, আমরা তার সবটাই করেছি। তবে নেতানিয়াহুর মতোই তিনিও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, আপাতত যুদ্ধবিরতি ঘোষণার কোনো সম্ভাবনাই নেই। হামাসকে নিশ্চিহ্ন করেই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হবে।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিন বিষয়ক ত্রাণ সংস্থার প্রধান নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ইসরায়েলের মনোভাবের কড়া সমালোচনা করেছেন। ফিলিপ লাজারিনি জানিয়েছেন, হামাসকে শাস্তি দিতে গিয়ে ইসরায়েল সার্বিক শাস্তির ব্যবস্থা করেছে। সাধারণ বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। গাজায় এখন কোনও জায়গাই নিরাপদ নয়।

বস্তুত, ইসরায়েল দাবি করেছে, গাজা থেকে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে দেওয়ার পরেই তাদের ট্যাঙ্ক এবং স্থলসেনা গাজায় প্রবেশ করেছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, যেভাবে ইসরায়েলের সেনা গাজায় আক্রমণ চালাচ্ছে, তাতে গাজা স্ট্রিপের কোনো জায়গাই এখন আর নিরাপদ নয়।